নন্দীগ্রামের ১৭ টি অঞ্চলের মধ্যে ১৪টিতে মমতাকে হারাবেন এমনটাই চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূল বলেছে আসনে মমতার জয় নিশ্চিত, অলীক স্বপ্ন দেখছে বিজেপি।
নন্দীগ্রাম আসনের বিধায়ক ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূল ত্যাগ করে বিজেপির সঙ্গে শুভেন্দুর এটাই প্রথম নির্বাচন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূলের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বললেন, এবার শুভেন্দুকে আর মাথা তুলতে দেবেন না।
মমতার এই ঘোষণার পর শুভেন্দু বলেছেন, স্বাগত দিদি, ২১ বছর সঙ্গে ছিলাম এবার নন্দীগ্রামে সামনাসামনি দেখা হবে।'পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষমতায় যাবার দুটি প্রধান শুনেছিল হুগলি সিঙ্গুর এবং পূর্ব মেদিনীপুর নন্দীগ্রাম।আর এই দুটি জায়গায় জমি অধিগ্রহণ বিরোধী তীব্র আন্দোলনের জেরে মমতার ক্ষমতায় যাওয়ার পথ প্রশস্ত করে। সেই নন্দীগ্রাম আন্দোলনে মমতার পাশে সেদিনের প্রধান লোক ছিলেন এলাকার তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারী।
শুভেন্দু সর্বশেষ তৃণমূলের হয়ে ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই আসনে জিতেছিলেন ৮২,০০০ ভোটের ব্যবধানে। এর আগে শুভেন্দু ২০০৯,২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনেও জেতেন। যদিও ২০০৪ সালে প্রথম লোকসভা নির্বাচনে দাঁড়িয়ে তিনি হেরেছিলেন বাম প্রার্থীর কাছে।শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপিতে যোগদানের পর 18 ই জানুয়ারি পূর্ব মেদিনীপুরের তেখালির বিরাট জনসভা থেকে মমতার ঘোষণা করেছিলেন, এবারের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে এই আসনে জিতবেন তিনি।
অবশ্য সম্প্রতি বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর শুভেন্দু রাজ্যের মন্ত্রী এবং বিধায়কের পথ ছেড়ে দিয়েছেন। এসব ছেড়ে ইশুভেন্দু এবার নেমে পড়েছেন মমতাকে হারানোর প্রতিজ্ঞা আর প্রত্যয় নিয়ে নির্বাচনী ময়দানে। তাই তৃণমূলও করুণা করেছে, লড়াই করে মমতা দেখিয়ে দেবেন, নন্দীগ্রামের শুভেন্দু নয় মমতায় হবে শেষ কথা।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন